চট্টলবীর ডেস্ক: প্রতি কেজি চিনি ১৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা বাজারে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১১ মে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক মোছা. শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) কর্তৃক চিনির মূল্য ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আবেদন, এপ্রিল, ২০২৩ মাসের এলসি খোলা, ইনবন্ড মূল্য, আউটবন্ড মূল্য এবং অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর বিবেচনায় নিয়ে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রাপ্ত অ্যানালাইসিস ব্যবসায়ী নেতাদের উপস্থিতিতে অংশীজন সভায় উপস্থাপন করা হয়। আগামী সপ্তাহ থেকে চিনির বাজারে অ্যাকশনÍ জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী
এতে আরও বলা হয়, বাজারে চিনির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখা, সাধারণ ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনায় বিটিটিসি কর্তৃক প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (খোলা) মিলগেট মূল্য ১১৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (প্যাকেট) মিলগেট ১১৯ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২১ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা নির্ধারণ করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কর্তৃক ১৫ দিন অন্তর অন্তর মূল্য সমন্বয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (খোলা) মিলগেট মূল্য ১১৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১৭ টাকা ও খুচরা মূল্য ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (প্যাকেট) মিলগেট ১১৯ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২১ টাকা ও খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা নির্ধারণপূর্বক বিক্রয় নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।