স্টাফ রিপোর্টার : রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আরও প্রসারিত হবে। দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনায় রামগড় স্থলবন্দর বেনাপোলের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। ২৩ মে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পেয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা ভবিষ্যতে চট্টগ্রামকে আরও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোল যেতে অনেক সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু রামগড় চালু হলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি রপ্তানি হয় তা আরও কম সময়ে ও খরচে আমদানি করা সম্ভব হবে। যা অর্থনৈতিক বিবেচনায় সারা দেশের জন্য ইতিবাচক। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরের মত সুফল কাজে লাগাতে রামগড় অধিক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, রামগড় স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে মীরসরাই-ফটিকছড়ি সহ উত্তর
চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। তাছাড়া বন্দর চালু হলে রামগড় থেকে ভারতের ওপর দিয়ে সিলেটের মাধবপুর পর্যন্ত নরসিংদী-মৌলভীবাজার সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটে যাতায়াতের সুবিধা পাবে চট্টগ্রামবাসী।
এদিকে, আগামীকাল (২৪ মে) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাচ্ছে ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বারৈয়ারহাট-হেয়াঁকো রামগড় সড়কের প্রশস্তকরণ ও আধুনিকীকরণের কাজ। যা রামগড় স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে।