স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবার (এনএনএস) উদ্যোগে নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন লয়েল রোডস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক এক কর্মশালা গতকাল ১১ জুন রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুমন বড়–য়ার সভাপতিত্বে ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ইফতেখার আহমেদ। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের এসপি সফিজুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক ডা. মোঃ শোয়েব, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ইনচার্জ) মোঃ ফখরুল আলম, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শারমীন আক্তার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর এস.এম শওকত আলী
(নোয়াখালী), মোঃ সালাউদ্দিন (রাঙ্গামাটি), মশিউর রহমান দেওয়ান (চট্টগ্রাম), মোঃ ইসরাইল হোসাইন (কুমিল্লা), মোঃ নুরুল করিম (ফেনী), নজরুল ইসলাম (চাঁদপুর) প্রমূখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান অর্জন প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য সচেতনতাই হতে পারে মুক্তির পথ। যে খাদ্য দেহের জন্য ক্ষিতিকর নয় বরং দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয় পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ করে তাই স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য। ভেজালযুক্ত খাবার মানুষের শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভেজাল খাবার রোধসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ জন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের উৎপাদিত খাদ্য যদি নিরাপদ হয় তাহলে দেশের অভাব মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনমানের উন্নয়ন জরুরী। নইলে মেধাবী ও বৃদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নেতৃত্ব পাওয়া যাবে না।