স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৭ জুনের মধ্যে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কার করা না হলে আগামী ৮ জুন থেকে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলে পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। ২৫ মে বৃহস্পতিবার বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কারের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (চট্টগ্রাম) সভাপতি মোহাম্মদ মুছা। বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কারের দাবীতে আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এসময় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে বহুমুখী সমস্যায় নিমজ্জিত হয়ে বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ কারণে শ্রমিক ও যাত্রী সহ সবাই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় দ্রæত বাস টার্মিনাল সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ না করলে পরিবহন বন্ধ সহ কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের (চট্টগ্রাম) সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বলেন, বাস টার্মিনালের সংস্কারসহ বিদ্যমান নানা সমস্যা আগামী ৭ জুনের মধ্যে নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে আগামী ৮ জুন ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ, বান্দরবানে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হবো।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (কাপ্তাই) সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটির সম্পাদক ও চট্টগ্রাম পশ্চিম পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহিন, চট্টগ্রাম পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী সাতকানিয়া চকরিয়া সড়ক পরিবহন যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল শ্রমিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নুরুল কবির, বান্দরবান কেরানীহাট চট্টগ্রাম শৈলশোভা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম মুন্সি প্রমুখ।