স্টাফ রিপোর্টার : রামগড়ে এক দিনে দুটি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের চুক্তিবিরোধী আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ দুই গাড়ির চালককে অপহরণ করে পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। ১৩ জুন মঙ্গলবার ভোরে যৌথ খামার এলাকায় ও বিকালে রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের দাঁতারাম পাড়া এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে। রামগড় থানার এসআই জীবন হাজারী দুই চালককে অপহরণ ও পরবতীর্তে অর্থের বিনিময়ে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাট থেকে মুরগির খাদ্য নিয়ে একটি ট্রাক (চট্টমেট্রো ড-১১-১৬১১) জেলার গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া যাচ্ছিল। এসময় ইউপিডিএফ’র চাঁদা সংগ্রাহক ধীমান ত্রিপুরার নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল যৌথ খামার এলাকায় অস্ত্র দেখিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে চালক মো. মিরাজ (৩৫) এর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এসময় চালক মিরাজ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার সাথে থাকা সহকারী মো. মান্নাসহ দুজনকেই মারধর শুরু করে সন্ত্রাসী দল।
এসময় সহকারী মান্না সেখান থেকে দৌড়ে যৌথ খামার জামে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিলেও চালক মিরাজকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
খবর পেয়ে রামগড়স্থ ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সহকারী মান্নাকে উদ্ধার করে এবং চালক মিরাজকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, পরবর্তীতে চালক মিরাজ মোটা অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ছাড়া পান।
এদিকে একইদিন বিকেল ৫টার দিকে রামগড় থেকে আবুল খায়ের কোম্পানির একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ন ২৩- ২৫৩৫) সিরামিকের মালামাল নিয়ে খাগড়াছড়ি যাচ্ছিল।
ট্রাকটি দাতারাম পাড়া এলাকায় পৌঁছালে ইউপিডিএফ’র চাঁদা সংগ্রাহক ধীমান ত্রিপুরার নেতৃত্বে ৬ থেকে ৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ট্রাকের গতিরোধ করে মূল সড়কের পাশে নিয়ে চালক মো. নেছার মোল্লা (৩৪)র কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এসময় চালকের সহকারী মো. মাসুম মিয়া (৩২) সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রামগড়স্থ ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু বকর সিদ্দিক সাইমুমের নির্দেশনায় বিজিবির একটি টহল দল ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সহকারী মাসুমকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে জানা যায়, মুক্তিপণ হিসেবে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে চালক নেছার মোল্লা ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ছাড়া পান।