স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসায় চট্টগ্রাম নগরীর পশুর বাজারে বেড়েছে ক্রেতার সমাগম। নগরীর স্থায়ী ও অস্থায়ী সব বাজারেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের তুলনায় ক্রেতা সমাগম বেশি।
বিবিরহাট বাজারে ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাগরিকা গরু বাজারেও বেড়েছে ক্রেতা।
বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রি শুরু হয়েছে, তবে ক্রেতা যে হারে বেড়েছে, বিক্রি সে হারে বাড়েনি। আশা করছি আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার পুরোদমে জমজমাট হয়ে উঠবে বাজার।
নরীতে চসিকের ৩টি স্থায়ী পশুর হাট আছে। সেগুলো হচ্ছে সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবার একাধিক শর্তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে। পশুর হাট গুলো তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
নগরের একাধিক পশুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু আনা হয়েছে বিক্রির জন্য। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, নাটোরসহ বিভিন্ন এলাকার গরু এসেছে চট্টগ্রামের বাজারে।
নগরীর কাছের উপজেলা বোয়ালখালী, কর্ণফুলী, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা ও বাঁশখালী থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে গরু, ছাগল, মহিষ। বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন সাইজের গরু-ছাগল পাওয়া যাচ্ছে।
সাগরিকা বাজারে ইসমাঈল নামের একটি গরুর দাম হাঁকা হয় ২০ লাখ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্রচুর গরু। তবে দামও প্রচুর!
জানা গেছে, অনুমতি পাওয়া নগরীর অস্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে বাকলিয়ার কর্ণফুলী গরু বাজার, দক্ষিণ পতেঙ্গায় টিকে গ্রুপের মাঠ, উত্তর পতেঙ্গায় খেজুরতলা মাঠ, টিএসপি মাঠ, মুসলিমাবাদ টিকে গ্রুপের মাঠ, মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের মাঠ, বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের মাঠ, পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড় এবং দক্ষিণ হালিশহরে আউটার রিং রোডের সিডিএ বালুর মাঠ।