স্টাফ রিপোর্টার: হাটহাজারীতে মেহেরুন্নেছা (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় নিহতের দেবর সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার পৌর সদরের হাজী কবির আহম্মদের বাড়ির প্রবাসী মনজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মেহেরুন্নেছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুর এলাকার হাজী কবির আহম্মদের বাড়ির প্রবাসী মনজুরের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, প্রবাসী মনজুর সাথে উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লালমিয়া মিস্ত্রির বাড়ির আবদুল কাদেরের মেয়ে মেহেরুন্নেছার গত বছরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছুটি শেষে মঞ্জু পুনরায় দেড় মাস আগে প্রবাসে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান। নিহত গৃহবধূ মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার শেষে নিজের রুমে ঘুমাতে যায়। কিন্তু গতকাল বুধবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে চলে যায়। এদিকে, সকাল ১০টা পেরিয়ে গেলেও গৃহবধূ মেহেরুন্নেচ্ছার রুম থেকে বের না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে। কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার দেহ ঝুলে আছে। খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য দেবর, ননদ ও শ্বাশুড়ি মেরুন্নেচ্ছাকে স্বামী বিদেশ যাবার পর থেকে বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতন করতো। তারাই তাদের মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলি আকবর বলেন, আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।