স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ১০ মার্চ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ’৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্ট গার্ডে। যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে চলেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়েছিলেন শোষিত, বঞ্চিত, ক্ষুধার্ত, নিপীড়িত বাঙালির জীবন উন্নত করতে। সে লক্ষ্য নিয়ে তিনি দেশ স্বাধীন করেন। আমাদের দেশে বিশাল সমুদ্রসীমা তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশে যেন নৌকাঘাটি হয় ৬ দফা তিনিই দাবি করেছিলেন। সরকারপ্রধান বলেন, ১৫ আগস্টে জাতির পিতা হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, জিয়া সরকার, এরশাদ সরকার বা খালেদা জিয়ার সরকার কেউ কিন্তু সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। ৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরই আমরা উদ্যোগ নেই। সমুদ্র সীমায় আমাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করি। পাঁচ বছর পরে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি নাই। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কেউ আর উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালের সরকার গঠন করেই সমুদ্রসীমা আমাদের যে অধিকার তার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আল্লাহ রহমতে আমরা সেটা করতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেই একটি ঠিকানা পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। সমুদ্রসীমায় যে সম্পদ রয়েছে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনোমি ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।