• বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

লক্ষীপুরে ফেসবুক পেইজ দিয়ে চলছে হলুদ সাংবাদিকতা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষীপুরে চলছে হলুদ সাংবাদিকতা। জানা গেছে লক্ষীপুর জেলায় বসে ফেসবুকে সত্যখবর ৭১ নাম দিয়ে পেইজ খুলে প্রবাসীদের নামে চলছে মিথ্যা অপপ্রচার। ফলে সামজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি নিয়ে লক্ষীপুরের সাংবাদিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সত্য খবর ৭১ / sotto khabar 71 নামের একটি ভূয়া ফেসবুক পেইজে নিজাম নামের এক ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সৌদি আরব প্রবাসী লক্ষীপুরের ১৫ নং নাহারকান্দি ইউনিয়নের খাজুরতলী গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে মাখছুদের রহমানের নিকট টাকা দাবী করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ফেসবুকে ভূয়া আইডি খুলে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। যা নিয়ে তৈরী হচ্ছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা। লক্ষীপুরের সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নিজামের কপ্পরে পড়ে ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন আওয়ামীলীগ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সত্য খবর ৭১ /sotto khabar 71 নামের ভূয়া ফেসবুক পেইজটিতে প্রতিনিয়ত ভালো মানুষরে চরত্রি হরণ করছে। ইতিমধ্যে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে সৌদি আরব প্রবাসী লক্ষীপুরের ১৫ নং নাহারকান্দি ইউনিয়নের খাজুরতলী গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে মাখছুদের রহমানের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এনিয়ে প্রবাসী মাখছুদের রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ইতিমধ্যে দুটি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। মাখছুদের রহমান জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ভূয়া আইডির মাধ্যমে এসব করা হলেও এসব করছে তার সামাজিক প্রতিপক্ষ বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে জন্মপরিচয়হীন বখাটেরা যৌক্তিক সমালোচনা না করে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। এদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান তিনি। ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার প্রসঙ্গে আইনজীবি এডঃ জুয়েল মিয়া বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কারো সন্মানহানি করা হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা অভিযোগ একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ। এই ধারায় সর্বোচ্চ ১৪ বছর থেকে সর্বনিন্ম ৭ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনটি সর্ম্পকে মানুষের ব্যাপক সচেনতনা সৃষ্টি না হওয়ায় অনেকেই না বুঝে এ অপরাধে অভিযুক্ত হন। এটি একটি কঠোর শাস্তিযোগ্য আইন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ