নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে হতদরিদ্রের জন্যে আজকাল বিশুদ্ধ পানি পাওয়া বেশ দুর্লভ’ই বলা চলে। উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলের পক্ষে একটি ভালোমানের ফিল্টার বা পিউরইট কেনা সহজ হলেও যারা একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত আছেন তাদের জন্যে এটি বেশ ব্যয়বহুল ই বলা চলে। তাই আজকের লেখাটি আমরা সাজিয়েছি এমন কিছু ব্যবস্থা দিয়ে যা দিয়ে আপনি বিনা খরচেই পানি বিশুদ্ধ করে পান করতে সক্ষম হবেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
বিনা খরচে বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার উপায়
নিচে বিনা খরচে বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:
পানিকে যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন ফুটিয়ে পান করার। এর সবচাইতে কমে পানিকে বিশুদ্ধ করার আর কোন ভালো উপায় নেই। এছাড়াও, ফুটন্ত পানি ফিলটারাইজড করা পানির থেকেও বেশি নিরাপদ।
পানিকে বিনা খরচে বিশুদ্ধ করতে চাইলে ক্লোরিনেশন একটি ভালো উপায় বলা চলে। এটি আপনাকে খুব কম খরচেই পানিকে বিশুদ্ধ করার নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকেন। পানিকে ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করার জন্যে এক লিটার পানিকে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে তাতে ৮ ড্রপস অথবা ৬% পযর্ন্ত ব্লিচিং পাউডার যোগ করুন। এরপর এটিকে ছাকনি দিয়ে ছেকে পান করুন।
সোলার ডিসইনফেকশনও আরও একটি ভালো উপায় পানিকে বিশুদ্ধ করার। এই পদ্ধতিতে আপনাকে সূর্যের কাছে এক পাতিল পানি রেখে দিতে হবে। সূর্যের কিরণের সংস্পর্শে এসে পানির মধ্যে থাকা সকল জীবাণু নিজ হতেই মরে যাবে।
ফিল্টারিং আরও একটি ভালো পদ্ধতি পানিকে বিশুদ্ধ করার। এটি দিয়ে আপনি খুব দ্রুতই পানি ফিল্টার করে ফেলতে পারবেন। আপনি যে কোন ধরনের নরমাল ফিল্টার কিনে নিতে পারেন পানিকে ফুটিয়ে সেটি ফিল্টারাইজড করার জন্যে। আজকাল কম খরচে পানির ফিল্টার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আপনি এদের মধ্যে যে কোন একটিকে বেছে নিতে পারেন।
আয়োডিন ট্যাবলেট
বিনা খরচে পানি বিশুদ্ধ করতে চাইলে আয়োডিন ট্যাবলেটের জুড়ি নেই। আপনি এক লিটার পানিতে ২-শতাংশ আয়োডিন দিন। এরপর এটিকে ছেকে পান করুন। তবে এ ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগের পূর্বে কোন এক্সপার্ট লোকের সহায়তা অবশ্যই নিবেন। কেননা, এক্সপার্ট লোক ছাড়া এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন না। আর অবশ্যই মনে রাখবেন আয়োডিনের মাধ্যমে পিউরিফাই করা পানি তিন সপ্তাহের বেশি সেবন না করতে।
মন্তব্য
উপরের সবগুলো পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি বিনা খরচে বলতে গেলে একেবারে নূন্যতম খরচে পানি বিশুদ্ধ করে ফেলতে পারবেন। তাছাড়াও, আয়োডিন বা ক্লোরিনেশন ছাড়াও যে কোন খাবার পানি ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিলেও সেটি জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে। হাতের কাছে যদি কোন উপাদান ই না থাকে তাহলে অন্ততপক্ষে পানিকে ফুটিয়ে পান করবার চেষ্টা করুন। এতে আপনি অনেক ধরনের পানিবাহিত রোগ থেকেও নিস্তার পাবেন।