স্টাফ রিপোর্টার : কারা আসছেন ফটিকছড়ি উপজেলার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃত্বে, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। আসন্ন ৩ নং নিচিন্তা ওয়ার্ড যুবলীগের কমিটিতে শীর্ষস্থান পেতে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন তদবির করে যাচ্ছেন টাকার বিনিময়ে। শেষ মুহূর্তে এসে মাদক ব্যবসায়ী মো. জাকির ঘুরছেন ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের কমিটিতে সভাপতি পদ দিতে। এছাড়াও ধরনা দিচ্ছেন দাঁতমারা ইউনিয়ন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে।
২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদ পেতে সিভি জমা দিয়েছেন চট্টগ্রামের এই মাদক সম্রাট মো. জাকির হোসেন। তবে তার পরিবারের সদস্যদের সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও একাধিক মাদক মামলার আসামী। এছাড়া সভাপতি পদপ্রত্যাশী মো. জাকির হোসেন একাধিক মামলার আসামী। জানা গেছে, বিপুল পরিমানের মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে একাধিকবার কারাগারে বন্দীও ছিলেন। ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতারা জানায়, আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলো এই মাদক ব্যবসায়ী জাকির। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী এলাকার সবাই জানে। জানা গেছে, এই মাদক সম্রাট মো. জাকির হোসেনের বড়বোন আনোয়ারা বেগম, ভাগিনা শাহিন, তুহিন, বড় বোনের স্বামী কক্সবাজারের বাসিন্দা গফুৃর কোম্পানী চট্টগ্রামের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তারা বিশাল বিশাল মাদকের চালান নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছেন। জানা গেছে, জাকির একসময়ে চট্টগ্রাম শহরের রিক্সা চালক ছিলেন। তার ভগ্নিপতির মাধ্যমে মাদক ব্যবসা করে এখন কোটি টাকার মালিক। নিজের নামটিও লিখতে জানেন না এই জাকির। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি মাদক সম্রাট জাকির বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দীও ছিলেন। মাদক সম্রাট জাকিরের ক্যারিয়ারে বড় কলঙ্কের দাগ লেগেছে মাদক ব্যবসার সাখে জড়িয়ে। সুত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে। আলোচিত একাধিক মাদক মামলার আসামি তিনি। বর্তমানে তার একটি মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন। তাছাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথেও তার যতেষ্ঠ সম্পৃক্ততা রয়েছে। ভূজপুর থানা জানায়, ২০২২ সালে মাদক সম্রাট জাকিরের নেতৃত্বে ৩৫ থেকে ৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের হোসেনেরখীল গ্রামে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ভূজপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম দৈনিক চট্টলবীরকে বলেন, আমি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীদের বলেছি, অনুপ্রবেশকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের জায়গা যুবলীগে হবে না। যুবলীগকে আমরা বিতর্কিত করতে চাই না। আমরা বিষয়গুলো ক্লোজলি মনিটরিং করছি। এমন কারও তথ্য থাকলে আমাদের কাছে পাঠান।