স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সরাসরি জড়িত। সনাতনীদের রথযাত্রা এখন সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছে।
নন্দনকাননের ঐতিহাসিক রথের পুকুর পাড় আজো এখান থেকে রথপরিক্রমার আয়োজন করে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এখানে আমরা যেমন রথযাত্রায় শামিল হবো তেমনি ঈদ আনন্দও সবাই ভাগাভাগি করে নেবো। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের স্থান চট্টগ্রামে হবে না। ২৮ জুন বুধবার বিকেল ৩টায় নগরের নন্দকানন তুলসীধামে কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আয়োজনে উল্টো রথযাত্রা উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঋষিধাম অধিপতি ও তুলসীধামের মোহন্ত শ্রীমৎ দেবদীপ পুরী মহারাজের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির সভাপতি রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্ত। অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন ও রুমকী সেনগুপ্ত।
প্রধান অতিথিকে তুলসীধামের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী। উত্তরীয় পরিয়ে দেন জহরলাল দত্ত। অ্যাড. সুজন কান্তি দে এর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন তুলসীধাম পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি প্রণত মিত্র চৌধুরী, অদ্বৈত-অচ্যুত মিশনের হিরন্ময় ধর, শ্যামদাস ধর, বিধান ধর। উপস্থিত ছিলেন রিক্তা দত্ত, প্রদীপ দাশ, সোনারাম ধর, দীপক বণিক, সাগর বিশ্বাস, স্বপন ধর, চন্দ্রনাথ পাল, শিবু প্রসাদ ধর, সজল চৌধুরী, সুধাংশু রঞ্জন দাশ, তপন ধর (টি কে), আশুতোষ দেব, বরুণ হাজারী, রূপন ধর, চন্দন পাল, শিবু প্রসাদ ধর, প্রদর্শন দেবনাথ সহ কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে তুলসীধামে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় নামকীর্তন, মদনমোহন পূজা, জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম পূজা, গুরুপূজা। সনাতন দাস ও অমিত সেনগুপ্ত এর পরিচালনায় ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন শিল্পীরা। দুপুরে মহাবীর হনুমানজী মন্দির থেকে ত্রি-দেবতাকে মাঙ্গলিক আয়োজনে শ্রীশ্রী মদনমোহন মন্দিরে পূজার বেদীতে আরোহণ করানো হয়। অদ্বৈত-অচ্যুত মিশনের সেবক এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ভক্তরা এসময় নামসংকীর্তন ও জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলভদ্রের জয়ধ্বনি দেন।