স্টাফ রিপোর্টার : গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আলাউদ্দিন বলেন, বৃষ্টি কমে গেছে। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা নেই। যে কারণে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পানি ধীরে ধীরে কমে যাবে। এদিকে, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে গেছে। তবে জোয়ারের সময় বাকলিয়াসহ কিছু এলাকায় বুধবারও পানি নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের।
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জেলার ১৪টি উপজেলায় কম-বেশি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌরসভার ৮০ শতাংশ এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখনও চন্দনাইশে হাজার হাজার বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে আছে। লোকজন ঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজন এবং আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। খাবার পানি সংকট তীব্র হয়েছে। ঘরে রান্না না হওয়ায় লোকজন খাদ্য সংকটে ভুগছে। চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এখনও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পানির কারণে বন্ধ হয়ে আছে। এ কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে চন্দনাইশের একাংশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, কক্সবাজার ও বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কিছুটা কমেছে।
সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নে বৃষ্টি না হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনও বাড়িতে ফিরতে পারছে না লোকজন। কোনও কোনও ঘরে এখনও হাঁটু থেকে কোমড় সমান পানি। অসংখ্য মাটির ঘর এবং সেমিপাকা ঘর ধসে পড়েছে। সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নে ৯০ শতাংশ মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ ছিল। অনেক কাঁচা ঘর, সেমিপাকা ঘর ধসে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৮০ শতাংশ ঘরে পানি ঢুকেছে। এ কারণে ঘর ছেড়ে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা অন্যত্র ঠাঁই নিয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, লোহাগাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। বৃষ্টি না হলে দুই-এক দিনের মধ্যে পুরোপুরি পানি নেমে যাবে। আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকজনকে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।