স্টাফ রিপোর্টার: কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় যে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রতীক হিসাবে নগরের বহদ্দারহাটে স্থাপন করা হয়েছে মাইক্রোফোন। চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার যে ঘোষণা পাঠ করা হয়েছে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এই উদ্যোগ। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ স্মৃতিস্মারক হিসাবে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় ট্রেড ম্যাক্স নামে একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণ করেছে। ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে স্মৃতিস্মারক স্থাপনাটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়েছে। তার স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছি। এই স্মৃতিফলক তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিবে স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ভূমিকার কথা। কাঁচ দিয়ে নির্মাণ করা স্মৃতিস্মারকটি পিরামিড আকৃতির। কাঁচের ফ্রেমের ভেতর রয়েছে মাইক্রোফোন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় যে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছে এটি তার প্রতীক। পিরামিডটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের আওতায় ট্রেড ম্যাক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ স্মৃতিস্মারক নির্মাণ করেছে। স্থপতি আজমল হকের নকশায় এটি নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেন ভাস্কর সুকান্ত ভট্টাচার্য ও মান্না ঘোষ। উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, হেলাল আহমেদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন জয়, জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কাবেদুর রহমান কচি, আশরাফুল গনি, সাইফুল ইসলাম লিটন, নেছার আহমেদ, পলাশ খাস্তগীর, শওকত হোসেন, ভাস্কর মান্না পাল, সুকান্ত প্রয়াস, স্থপতি আজমুল হক।
