চট্টলবীর প্রতিবেদন : সরকারি চাকরি করেও তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ন পদে রয়েছেন। তিনি হলেন, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ষোল শহরের প্রশাসন বিভাগের মেকানিক পদে কর্মরত হামিদুল হক চৌধুরী, পিতা: আজিজুল হক। জানা গেছে, তিনি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের দীপ্তি – শাহেদ কমিটির সহ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ভঙ্গ করে বিরোধী দল বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়েছেন পেয়েছেন চট্টগ্রামে বিএনপির বড় পদ। সরকারি চাকরি করেও নিয়মিত অংশ নেন দলের নানা কর্মসূচিতে। এ জন্য চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় দায়েরকৃত সরকার বিরোধী আন্দোলনের নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দীও ছিলেন। সরকারি চাকরি করে সরকার বিরোধী আন্দোলনের নাশকতা মামলায় গ্রেফতার হলেও চাকুরি ক্ষেত্রে তার কিছুই হয়নি। জানা গেছে, জামায়াত ইসলামী দলকে সমর্থনকারী বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর একজন উর্ধতন কর্মকর্তা তাকে নিরাপদ ছায়া দিয়ে রক্ষা করছেন। এরই মধ্যে বিএনপির জ্বালাও পোড়াও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে হামিদুল হক চৌধুরীর অংশ নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, হামিদুল হক রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নিতে গিয়ে প্রায় সময় চাকুরিতে অনুপস্থিতি থাকার কারণে সব যেন এলোমেলো। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন সরকারি চাকুরিজীবি হয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচীতে বিএনপির রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়ে দলীয় কর্মকান্ডে প্রকাশ্যে অংশ নেয়া বিষয়ে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার বলছেন, এটি চাকুরীবিধির সুস্পষ্ট লংঘন। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না। প্রমাণ পেলে তার যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র জানায়, হামিদুল হক চৌধুরী স্থানীয় ভাবে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাশকতা মামলার আসামী শামসুজ্জামান হেলালীর সাথে প্রতিটি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে গোপন বৈঠক করে চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধরনের নাশকতার ছক তৈরী করে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম নগর যুবদলের বিক্ষোভে লাঠি হাতে মিছিলের ছবি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেকানিক হামিদুল হক চৌধুরী ও তার কর্মী হিসেবে ইয়াছিন ও আব্দুর রহমান ভুইয়া বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন ও প্রচার প্রচারনা চালান। রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচীতে তাদেরকে দেখা যায়। এ ব্যপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকুরিজীবী কেউ ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাইলে, এটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।এটা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা পরিপন্থী। এদিকে অভিযোগ বিষয়ে বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ষোলশহরের প্রশাসন বিভাগের মেকানিক পদে কর্মরত হামিদুল হক চৌধুরীকে বার বার ফোন করা হলে সংবাদপত্রের পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।