• বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

দাঁতমারায় চলছে চেয়ারম্যানের অনুসারী সেলিম ও হানিফের চাঁদাবাজি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলমের অনুসারী সেলিম সরকারের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে এলাকার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক তাকে অপহরণের চেষ্টা, হুমকি, চাঁদাদাবী ও হয়রানির অভিযোগে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। ভূজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের হেয়াকো বাজারের জনপ্রিয় পল্লী চিকিৎসক ডা. মহিমুজ্জামান মজনু আদালতে মামলা দায়েরের পর এর প্রতিকার চেয়ে গত ১২ এপ্রিল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। ফটিকছড়ি উপজেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পল্লী চিকিৎসক মহিমুজ্জামান বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার বহুল পরিচিত হেয়াকোঁ বাজারে পল্লি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঔষধ ব্যবসা ও বীমা ব্যবসাসহ জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করে আসছেন। হটাৎ তার ব্যবসায়িক জীবনের সফলতা দেখে স্থানীয় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধান সেলিম সরকার মোটা অংকের চাঁদা দাবী করতে শুরু করেছেন। সেলিম সরকার ও তার ভাই সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হানিফ সরকার তাদেরকে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেন। তাদের এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১ এপ্রিল রাতে সেলিম সরকার গং দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিমুজ্জামানের ব্যবসায়কি অফিসে গিয়ে তাঁকে খুঁজতে থাকে। সেখানে না পেয়ে রাত ১০টার দিকে নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে সেলিম সরকারের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ পথরোধ করে চার লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সেলিম সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এসময় রফিকুল ইসলাম নামের আরেকজন তার হাতে থাকা কাঠের লাঠি দ্বারা এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এসময় ১টি স্মার্টফোন ও নগদ সাড়ে পাঁচ হাজার ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে যাওয়ার সময় চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসা বা থাকতে দিবেনা এবং এ ঘটনায় কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা করলে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি দেন। এর পর গত ৬ এপ্রিল রাতে সেলিম সরকার ও তার ছোট ভাই দাঁতমারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি হানিফ সরকারের নেতৃত্বে তার পোষ্য চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের ক্যাডারদের নিয়ে মহিমুজ্জামানকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তিনি স্থানীয়রা দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফোন দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ উপস্থিত হওয়ায় হামলাকারীরা সটকে পড়ে। বর্তমানে সেলিম সরকার তার ভাই নানাভাবে হুমকি প্রদানসহ অপহরন করার পরিকল্পনা করছে। জানা গেছে, সেলিম সরকার ও তার ভাই হানিফ সরকার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলমের ব্যবসায়ী পার্টনার। দুদকের দায়েরকৃত মামলার আসামী জানে আলম চেয়ারম্যান এর সাথে তারা দুই ভাইয়ের জমি থেকে মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি করা ব্যবসা রয়েছে। ফলে চেয়ারম্যানের একান্ত নিজস্ব লোক হউয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ বা কথা বলেনা। এর ধারাবাহিকতায় মহিমুজ্জামানের পুরো পরিবার আতংকিত হয়ে উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে। তাদের অব্যাহত হুমকির কারণে রীতিমত দৈনন্দিন ব্যবসায়ীক কর্মকান্ডও পরিচালনা করতে পারছেনা। এলাকাবাসী জানায়, সেলিম সরকার ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী ও চাঁদাবাজি কর্মকান্ডে এলাকার অনেক ব্যবসায়ী ও প্রবাসী পরিবার এখন সর্বশান্ত।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিম সরকার দৈনিক চট্টলবীরকে বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। আমি এসব অপকর্মে জড়িত নই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ