• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

ফটিকছড়ির ভূজপুরের ওসি হেলালের সাথে খুনের মূল আসামি আকতারের দারুণ সখ্যতা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১ মে, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। ওসি হেলালের যোগদানের পর থেকে দিন দিন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়ে আসছে ভূজপুর থানার দাঁতমারা ইউনিয়ন ও বাগানবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। এখানে ক্রমেই বাড়ছে খুনের ঘটনা। বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ। সর্বত্রই চলছে ওপেন চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলযজ্ঞ। ভূজপুরের ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকীকে মাসোহারা ও দৈনিকভিত্তিক চাঁদা দিয়ে এখানকার অভ্যন্তরীণ ও প্রধান সড়কে শত শত নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে আর বন বিভাগের ভূমির মাটি কেটে বিক্রির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।

এদিকে দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা এলাকায় প্রবাস ফেরত মাসুদুর রহমান মাসুদকে (৩৫) গত ২৫ মার্চ রাতে হত্যার ঘটনার এক মাস পার হলেও এজাহারভুক্ত মূল আসামি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মুহাম্মদ আকতার গ্রেপ্তার হননি। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ নিহত ব্যক্তির পরিবার। মামলার ২ জন আসামী মুহাম্মদ শামীম ও দেলোয়ারকে স্থানীয় ব্যক্তিরা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এজাহারভুক্ত মূল আসামি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মুহাম্মদ আকতারকে গ্রেপ্তার না করে তার সাথে ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ফারুকীর দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে গ্রেপ্তার না হওয়া আসামীরা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বাদীঢকে। এমনকি ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকীকে ম্যানেজ করে চলছে আসামীদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার পায়তারা। জানা গেছে, ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ফারুকীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে হত্যা মামলার মূল আসামী মুহাম্মদ আকতারের সাথে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ রাতে স্থানীয় বালুটিলা বাজারে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছেন, ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ফারুকী আমাদেরকে আইনি সহায়তা না দিয়ে উল্টো আসামীদেরকে সুযোগ সূবিধা দিচ্ছে। মাসুদুর রহমান মাসুদকে খুন করা হয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুহাম্মদ আকতারের নির্দেশে। কিন্তু ভূজপুর থানা- পুলিশের সঙ্গে তাঁর সখ্য থাকায় আকতারকে গ্রেপ্তার করছে না।

উপজেলা আওয়ামী বেশ কয়েকজন নেতা ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ অপরাধীদের মদদ দিচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা ছাড়া এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন দৃশ্যমান অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার কোনো অবকাশ নাই। আর প্রশাসনের যথাযোগ্য ভূমিকার অভাবেই ভূজপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত নানা অপরাধ বেড়েই চলেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ