স্টাফ রিপোর্টার : তৃণমূলের নেতা কর্মীদের উপর ভর করে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গুলোতে জয়লাভ করে আসছে। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে তৃণমূল আওয়ামী লীগ বেশ সক্রিয় আগে থেকেই। কিন্তু ইদানীং তৃণমূল আওয়ামী লীগকে নিয়ন্ত্রণসহ নিজেদের বলয় সৃষ্টিতে আধিপত্য বিস্তারে মগ্ন নেতাকর্মীরা। স্থানীয় রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চালানো হচ্ছে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের উপর পরিকল্পিত হামলা। নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই ব্যক্তি-আক্রোশ দলের মধ্যে প্রকাশ্যে ফুটে উঠছে। রাত-বিরাতে তৃণমূলের নেতা কর্মীদেরকে আক্রমণ ও হত্যার ঘটনাও ঘটছে। চট্টগ্রামের ভূজপুর থানার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়নে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ কর্মী মাসুদ হত্যা ও লক্ষীপুরে যুবলীগনেতা নোমান ও ছাত্রলীগের নেতা রাকিব নিহতের পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নজরে আসে বিষয়গুলো। হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলোর দাবী তৃণমূলের এসব ঘটনার সঙ্গে নিজ দলের নেতারা জড়িত। চট্টগ্রামের ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মী মাসুদ হত্যা মামলার মূল আসামী দাঁতমারা ইউনিয়নে যুবলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন। এদিকে লক্ষীপুরে যুবলীগনেতা আবদুল্লাহ আল নোমান (৪০) ও জেলা ছাত্রলীগনেতা রাকিব ইমামকে (৩৫) হত্যার মামলায়ও মামলায় প্রধান আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জিহাদী। এতেই প্রতিয়মান হয় তৃণমূল আওয়ামী লীগকে নিয়ন্ত্রণসহ নিজেদের বলয় সৃষ্টি করতে আধিপত্য বিস্তারে আওয়ামীলীগের নেতারাই নিজ দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্ব›িদ্বতা থাকবে। কিন্তু কোনো রকম হানাহানি, নোংরামি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় সূত্র মতে, গত কয়েক মাসে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এসব ঘটনার পেছনে রয়েছে আধিপত্য বিস্তার। জানা গেছে, নিজ দলের কোনো নেতার ইন্ধন বা নিজস্ব বলয় সৃষ্টির কারণে তৃণমূলে হানাহানি-মারামারি কিংবা নোংরা রাজনীতির শিকার হচ্ছে। সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক দায়িত্বশীলরা।