• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার সাক্ষীকে অপহরণের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩

স্টাফ রির্পোটার: চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় গোলাম আজাদ (৫৫) নামে এক হত্যা মামলার সাক্ষীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন ওই সাক্ষীকে অপহরণ করে নিজ বাড়িতে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ গোলাম আজাদের। এরপরে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। রবিবার ৭ মে রাতে জোয়ারা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। গোলাম আজাদ জানান, রবিবার রাত ৯টার দিকে শহর থেকে নিজ গাড়িতে চন্দনাইশে যাচ্ছিলাম। কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ টোলপ্লাজায় পৌঁছালে চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার লোকজন আমার গাড়ি থামান। এ সময় গুলি করার হুমকি দিয়ে আমাকে অপহরণ করে চন্দনাইশের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি আমার ভাগিনা এরশাদ জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ মধ্যরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালালে আমাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমার মোবাইল, ঘড়ি এবং আড়াই লাখ টাকার বেশি ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। গোলাম আজাদ আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে রুনা নামে এক কিশোরীকে কেরোসিন ঢেলে হত্যার অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাট থানায় মামলা করা হয়। আমি ওই হত্যা মামলার সাক্ষী। এ জন্য আমাকে অপহরণ করেছেন চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর নগরীর ১৩ নম্বর আইস ফ্যাক্টরি রোডে চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরীর বাসায় কাজ করতো রুনা (১৪) নামে এক কিশোরী। তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলার সাক্ষী আজাদ। পরে এক নারীকে ভুয়া বাদী সাজিয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। গত ১৭ এপ্রিল ছয়টি মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মামলা প্রত্যাহারের অভিযোগ তুলেছেন। চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, রবিবার রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায় পুলিশ। বলা হয় ব্যবসায়ী আজাদকে চেয়ারম্যান অপহরণ করে আটকে রেখেছেন। কিন্তু আমরা বাড়িতে গিয়ে আজাদকে পাইনি। তাকে চেয়ারম্যান অপহরণ করেছেন অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আজাদ। আমরা অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ