• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

এবার পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩

চট্টলবীর ডেস্ক: তেল, চিনির পর এবার অস্থির হতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার। কয়েক মাসের ব্যবধানে পাইকারিতেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। এর প্রভাবে খুচরায় পেঁয়াজের কেজিতে বাড়তি ২০ টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মুরগির দাম। এক মাস আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকায় চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে। বর্তমানে পাইকারিতেই প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ঠেকেছে ৫০ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, গত মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে। পাশাপাশি স্থলবন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাই এখন পুরোপুরি দেশি পেঁয়াজের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। চাহিদা মেটাতে পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, গত দুমাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তাই এখন পুরোপুরি দেশি পেঁয়াজের উপর আমরা নির্ভর করছি। সরবরাহও আমাদের ভাল রয়েছে যা দিয়ে বর্তমান চাহিদা সামাল দেয়া যাবে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসলে সরবরাহ আরো বেড়ে যাবে। তখন দাম অনেকটাই কমে যাবে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, রোজার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ে। কোরবানির আগে নানা অজুহাতে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ে। এটা নতুন কিছু নয়। সরবরাহ ভাল তবুও কেন পেয়াজের বাজার চড়া বিষয়টি তদারকি করা দরকার। এজন্য প্রয়োজন নিয়মিত অভিযান এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কমতে শুরু করেছে মুরগির দাম। গতসপ্তাহে ২২০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ২১৫ টাকায়। পাশাপাশি কক ৩৪০ ও পাকিস্তানি লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮শ এবং খাসি ১১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ৭০, কুমড়া ৩০, বেগুন ৬০, ঢেড়শ ও তিতা করলা ১০০, গাজর ৬০, ঝিঙে ১২০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাচামরিচ ৮০, বরবটি ৮০, কাকরোল ৯০, ধুন্দুল ৯০ ও লতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই-কাতলা মাছ ৩শ থেকে ৩২০, পাবদা ৪শ, টেংরা ৪৫০, শিং ও সমুদ্রের কোরাল ৫শ, কই ২৬০ এবং পাঙাস ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি মসুর ডাল ১২০ থেকে ১৩০, প্রতিকেজি আদা ১৮০, দেশি রসুন ১৫০, প্রতিকেজি খোলা আটা ৬০, প্যাকেট আটা ৬৫ ও প্রতিকেজি চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ