চট্টলবীর ডেস্ক: অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব পড়েছে টেকনাফ উপজেলার পানের বাজারে। ১৩ মে শনিবার শাপলাপুর পান বাজারে এক বিড়া পান বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। এতে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পান চাষিরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে পাইকারী পান ব্যবসায়ীরা বাজারে না আসার কারণে দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন পান ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় পান চাষিরা জানান, টেকনাফ উপজেলায় প্রতি সপ্তাহে চারদিন পান বাজার বসে। শাপলাপুর পান বাজার বসে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার। আর টেকনাফ পৌরসভার পান বাজার বসে প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বুধবার। দক্ষিণ নেঙ্গরবিল তিন নম্বর ওয়ার্ডের পান চাষি মো. আইয়ুব বলেন, বাজারে পানের দাম কমে গেছে। বিড়া প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কম পাচ্ছি। অন্য সময় বিড়া প্রতি ২শ টাকা বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। মিডা পানিরছড়া এলাকার বয়োবৃদ্ধ পান চাষি মো.ইব্রাহিম বলেন, সাত-আট বছর যাবৎ পান চাষ করছি। আজ (রোববার) পানের দাম একদম কমে গেছে। পাইকারী পান ব্যববসায়ীরা না আসার কারণে দাম কম। বাজারে পান নিয়ে এসেছি, সেটা কোনমতে বিক্রি করতে পারলেই হলো। পান চাষি মো. আব্দুল বলেন, হঠাৎ করে পানের দাম কমে যাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টেকনাফ বাজারে পাইকারি পান ব্যবসায়ীরা না আসার কারণে দাম কমেছে।