চট্টলবীর ডেস্ক : চট্টগ্রামের সিআরবিতে অবস্থিত রেলওয়ের বক্ষব্যধি হাসপাতালকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মচারী হাসপাতাল করার প্রস্তাব করেছে জেলা প্রশাসন। তার জন্য অনুমতি চেয়ে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান রেলওয়ে সচিবকে চিঠি দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়নি।
ওই চিঠি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি এলাকায় বাংলাদেশের রেলওয়ে হাসপাতাল (বক্ষব্যধি হাসপাতাল) নামে রেল কর্তৃপক্ষের একটি হাসপাতাল রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে তেমন কোনো চিকিৎসা কার্যক্রম চলমান নেই। এখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা সহায়ক কর্মচারী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদ্যমান নেই। হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতঃ পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা সহায়ক কর্মচারী পদায়ন পূর্বক এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে ব্যবহারের উদ্যোগে নেওয়া গেলে দ্রæতই পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইতোমধ্যে দেশের সকল বিভাগের বিভাগীয় কর্মচারী হাসপাতাল নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিভাগেও বিভাগীয় কর্মচারী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। ওই প্রস্তাব অনুমোদন ও বাস্তবায়ন দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই অন্তবর্তীকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মচারি হাসপাতাল হিসেবে রুপান্তর পূর্বক ব্যবহার করার কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের অনুমতি প্রয়োজন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। তবে এটার অগ্রগতির বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে সিআরবির হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. লোকমান হোসেন, উপদেষ্টামÐলীর সদস্য অরুন কুমার দাস, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক গোকুল চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইমুম হোসেন ভোর, মো. সাজ্জাদ হোসেন, সহ-ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রকিবুল আলম সাজ্জী।