স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রাইভেটকারে চড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার হয়। রাজশাহী জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ যৌথভাবে চেকপোস্ট বসিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ২৫ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদরদফতরে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন এ কথা জানান।
তিনি জানান, দেশের অন্য থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়েও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি। আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ায় পুঠিয়া থানায় চাঁদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। চেকপোস্ট বসিয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
ডিআইজি আবদুল বাতেন জানান, বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই ২০-২৫টি মামলা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় রাজশাহী জেলা ও মহানগরের থানাগুলোতে আরও ছয় থেকে সাতটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।অসংখ্য মানুষের সামনে আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এটি পরে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরে দেশজুড়ে আলোচনা হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়। এসব মামলায় গ্রেফতার এড়াতে চাঁদ আত্মগোপনে ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, আবু সাঈদ চাঁদ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী জেলা কমিটির আহ্বায়ক। তিনি চারঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান। একাধিকবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি।
গত ১৯ মে বিকালে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে চাঁদ বলেন, আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করবো। তার এই বক্তব্যের ভিডিও দুই দিন পর ছড়িয়ে পড়লে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারাদেশে। আত্মগোপনে থাকা চাঁদকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে আসছিল পুলিশ।