স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারায় মাসিক টোকেন দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করছে ভূজপুর থানার পুলিশ ফাঁড়ি দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র । এর ফলে বৈধ যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের মতো তিন চাকার যান। টোকেন থাকায় অবৈধ ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, পিকআপ ও অবৈধ কাঠ বোঝাই ট্রাকের চালকদের লাইসেন্সের দরকার হয় না। দেখাতে হয় না গাড়ির কাগজপত্র। কখনও কোনও কারণে এসব যান আটক করা হলে টোকেন দেখালেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গভীর রাতে তল্লাশির নামে নেওয়া হয় চাঁদা। অথচ এসব কাজে তল্লাশির জন্য সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট। এরপরও তল্লাশির নামে হয়রানি ও চাঁদা আদায় করছে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আইসি নাজের।
সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হেঁয়াকো বাজারে আঞ্চলিক সড়কের পাশে দাঁতমারা ইউনিয়ন যুবলীগের ২ নেতার মালিকানাধীন শত শত ইজিবাইক। এসব এখন স্থানীয়দের জন্য সড়কে যাতায়াতে বিষফোঁড়া। এতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। আবার মিনি ট্রাকগুলো পাহাড়ি ও ফসলি মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে কিছু মাটি ফেলে যায়। এতে প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশাসহ অনেক গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অথচ দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এসব দেখেও যেন দেখে না।কয়েকটি গাড়ির মালিক ও কয়েকজন শ্রমিকনেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এখন টোকেন বাণিজ্য ও দৈনিক উপার্জনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিটি অবৈধ কাঠ বোঝাই গাড়ি থেকে এক হাজার থেকে দুই হাজার করে চাঁদা নেয়। প্রতিটি মাটির বোঝাই ডাম্পার (মিনি ট্রাক) থেকে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়। টাকা নিয়ে গাড়ির মালিক কিংবা চালকের হাতে ধরিয়ে দেয় এক মাস মেয়াদি টোকেন। এই টোকেন বাণিজ্য করে মাসে একেক যান থেকে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা নিচ্ছে এক হাজার দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এর আইসি নাজের এর নেতৃত্বে পুলিশের কিছু সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগের নেতা মিলে সিন্ডিকেট করে চালাচ্ছেন টোকেন বাণিজ্য।
টোকেন বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি নাজের বলেন, দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ কোনও যানবাহন থেকে টাকা নেয় না। যদি কোনও পুলিশ সদস্য অবৈধভাবে টাকা নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।