চট্টলবীর ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা দেশে অপরাধ করেছে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা বিদেশে গিয়ে এখন মানবাধিকারের বিরাট প্রবক্তা হয়ে গেছে। কেউ কেউ দুর্নীতির প্রবক্তাও হয়ে গেছে।’
২১ জুন বুধবার দুপুরে গণভবনে সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও তাদের সংখ্যা কমে যাওয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করবে, সেই নীতিতে বিশ্বাস করে। ২০০১ সালের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার, বীভৎস ঘটনা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, এমনকি মুসলমানরাও রেহাই পায়নি। একটা পাড়া পর্যন্ত তারা (বিএনপি) জ্বালিয়ে দিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। মন্দির ভেঙেছে, মসজিদ ভেঙেছে। বিএনপি-জামায়াত এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখানকার (বাংলাদেশ) বিভিন্ন ধর্মীয় প্রধানরা বিবৃতি দিয়েছেন, চিঠিও দিয়ে বলছেন- তারা ভালো আছেন। আমাদের কাউকে বলতে হয়নি। তারা নিজেরাই বলেছেন যে, চিঠিটি ভুয়া ও মিথ্যা। সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই চলছে।’
দেশের মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরাই করে দিয়েছি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা যেভাবে প্রতিবাদ করছেন, বলছেন যে, এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নির্বাচন যত কাছে আসবে, এ ধরনের অপপ্রচার তারা চালাবে। আমি দেশবাসীকে বলবো- এ রকম অপপ্রচারে কান দেবেন না, বিব্রতও হবেন না।’