স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী এলাকায় রহিমা বেগম সুমি (১৯) ও তার ছয় মাস বয়সী ছেলে হৃদয়কে হত্যার দায়ে আবদুল বারেক ও তার প্রথম স্ত্রী লাকী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল বারেক লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বদু মিয়ার ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকায় থাকতেন। নিহত রহিমা বেগম সম্পর্কে তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
২২ জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল বারেক ও লাকী বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে দুজনকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট দীর্ঘতম বড়ুয়া দিঘু। আদালত সূত্র জানায়, নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ২০১১ সালের ২৬ মার্চ রহিমা বেগমকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। একই সঙ্গে তার ছয় মাস বয়সী ছেলে হৃদয়কে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা রহিমা বেগমের মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করে। এ ঘটনায় নিহত রহিমার বোন জহুরা বেগম রানু বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় আবদুল বারেক, লাকী বেগম ও মরিয়মকে। মরিয়ম সম্পর্কে বারেকের বোন। তবে মামলাটির তদন্তে হত্যাকাণ্ডে মরিয়মের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাকে বাদ দিয়ে বাকি দুজনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচারিক প্রক্রিয়ায় মোট ১৬ জন সাক্ষ্য দেয়। গত ৬ জুন মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। এরপর ১৪ জুন রায়ের জন্য ধার্য করা হয়। তবে সেই তারিখ পিছিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রায় ঘোষণা করেন আদালত।