চট্টলবীর ডেস্ক : আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় সারা বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজ মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন। ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্ক, লা শারিকা লাকা’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে পবিত্র আরাফাতের ময়দান। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন হাজিরা। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন। আরাফাতের মসজিদ-এ নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে কাবা প্রাঙ্গণ। কাবাঘর প্রদক্ষিণ করেছেন বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি। আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন হাজিরা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন তারা। রাতে সেখানে খোলা মাঠে অবস্থান করবেন তারা। সেখান থেকে শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।
মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় শয়তানের উদ্দেশে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দেবেন হাজিরা। আগামীকাল কোরবানি দেবেন। অধিকাংশ হাজি নিজে বা বিশ্বস্ত লোক দিয়ে পশুর হাট ও জবাই করার স্থানে (মুস্তাহালাকা) গিয়ে কোরবানি দেন। কেউ কেউ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (৭২০ রিয়াল) জমা দিয়েও কোরবানি দিয়ে থাকেন।