স্টাফ রিপোর্টার : মুসলিম জাহান ত্যাগের মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার অঙ্গীকারে প্রত্যয়ী হওয়ার এক সফল অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবারের মতো এবারও চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদে।
সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় ২৯ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায়।
প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করেন খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। ঈদের নামাজ আদায় করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী মীর মো. নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারি কনসাল জেনারেল সোলায়মান আলম শেঠ, সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের নামাজ আদায় করে প্রধানমন্ত্রী এবং দেশবাসীর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনা করেছি। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যই আমাদের রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি চেয়েছি। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়েই হবে।
একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক।
ঈদের জামাত শেষে খুৎবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনার পাশাপাশি সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র গুনাহ মাফ চেয়ে দোয়া কামনা করা হয়েছে। যেকোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে। সকালে জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে প্রধান ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা আসেন। নামাজের পর একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।