স্টাফ রিপোর্টার : খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, সরকারের বর্তমান উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন। ২৮ আগস্ট সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুচিন্তা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দেবাশীষ পাল দেবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন।
সংসদ সদস্য নোমান আল আহমুদ বলেন, শোষণহীন সমাজ গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু এক সুদীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সবসময় শোষণের বিরুদ্ধে, বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, রুখে দাঁড়িয়েছেন শোষকদের বিরুদ্ধে। শোষণকে তিনি দেখেছেন বঞ্চনার একটি শক্তিশালী খুঁটি হিসেবে, সাম্যের পরিপন্থী হিসেবে এবং মানবাধিকারের সঙ্গে সংগতিহীন হিসেবে।
সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বঙ্গবন্ধু সাগরের সমান বিশাল। তাঁকে নিয়ে এক দিনের আলোচনা যথেষ্ট নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও জানার, তাঁকে বিশ্লেষণ করার সুযোগ সৃষ্টিতে ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রান্তজন অর্থাৎ সমাজে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে ভাবনা, তাদের জন্য নানামুখী কর্মসূচি, তা আমাদেরও প্রতিটি কাজে প্রতিফলিত হওয়া উচিত যেন সমাজে সাম্য নিশ্চিত হয়। তিনি সবসময় সাম্যের কথা বলেছেন। তাঁর কথা, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের পৌঁছে দিতে হবে পরের প্রজন্মের কাছে।
আলোচনায় অংশ নেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মো. আপেল মাহমুদ, সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মো. হোসেন আহামদ, আবুল হাসনাত চৌধুরী, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল, ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইমরান প্রমুখ।