• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

জামালের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ দাঁতমারার ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড

অনলাইন ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ২ নং দাঁতমারা ইউনিয়ন এখন সন্ত্রাসের জনপদ ও মাদক ব্যবসার ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে ওঠেছে। এখানে চাঁদাবাজি ও মাদক দিয়ে ফাসাঁনোর কর্মকান্ড চলছে পুলিশের এক বড় কর্মকর্তা ও এক জনপ্রতিনিধির ইশারায়। পুলিশের এক বড় কর্মকতাকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললে মাদক দিয়ে ফাসাঁনো হচ্ছে অহরহ। এর সাথে জড়িত রয়েছে, এলাকার মূর্তিমান আতংক সন্ত্রাসী জামাল উদ্দিন। দাঁতমারা ইউনিয়নের বেতুয়া দাউদের টিলার বাসিন্দা আব্দুল খালেক প্রকাশ ননা মিয়ার সন্তান জামাল উদ্দিন চাঁদাবাজি ও বনবিভাগের জমি দখল করে হতদরিদ্যদের কাছে বিক্রি করতে রাখতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। জামাল উদ্দিন বন বিভাগের জমি দখল করে সেই জমি সাধারণ মানুষের নিকট বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, সরকারি জমি দখলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এই জামাল উদ্দিন। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা কার্ড, সরকারী ঘর পাইয়ে দিবে বলে হাতিয়ে ২০ লক্ষ টাকা। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বেতুয়া, বড় বেতুয়া, দাঁতমারা বাজার, শান্তির হাট, হোসেন্যারখীল, বান্দরমারা ও গ্রামপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আসছে। বিশেষ করে বেতুয়া ও দাঁতমারা বনবিটের সরকারী জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে আবার তা বিক্রি করে তার মাসিক আয় ৫ লাখ টাকা। চাঁদা আদায় করতে বিস্তর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যখন তখন সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে জামাল উদ্দিন। এই জামালের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সুত্র জানায়, বেতুয়া ও দাঁতমারার বনবিভাগের সরকারী অফিসগুলোতে আথিপত্য ধরে রাখতে এলাকায় প্রায়ই নিরীহ মানুষদের মারধর করতো জামাল। বছরের পর বছর এখানকার এই গডফাদার জামাল উদ্দিন গ্রুপ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী জামালকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি করে মিছিল ও সমাবেশ করে যাচ্ছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ