আকাশ দেবনাথ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী শুরু হয়েছে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। এবার চট্টগ্রাম থেকে আলোচনায় রয়েছে ডজনখানেক নারীনেত্রীর নাম। তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব। তিনি এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য প্রত্যাশী হয়ে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ক্লিন ইমেজের সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়বের তৃণমূলে রয়েছে বিশাল কর্মীবাহিনী। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব দীর্ঘ ২ যুগ ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দলের তৃণমূলে। ৯৬ এর গনআন্দোলন থেকে শুরু করে দলের কঠিন-দুঃসময় থেকে একনিষ্ঠভাবে তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের রাজপথের আন্দোলনে। চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলায় মহিলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন চেমন আরা তৈয়ব। বিগত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামে দলের প্রার্থীদের বিজয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের এই নেত্রী। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করে তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা এই নেত্রীকে এবার জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে আবারো দেখতে আগ্রহী দলের চট্টগ্রামের সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দলের দুঃসময়ে ভূমিকা রাখা এবং দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেত্রী হিসেবে এবার প্রধানমন্ত্রী তাকে মূল্যায়ন করবেন বলে আশা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জানাগেছে, বর্তমানে তিনি জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন চেমন আরা তৈয়বের পরিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাঁর স্বামী ডাঃ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব চট্টগ্রামের বিশিষ্ঠ চিকিৎসক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন। চেমন আরা তৈয়ব ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালের অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নির্বাচনে দায়িত্ব পালন বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী চেমন আরা তৈয়ব বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতার আদর্শের রাজনীতি করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় মহিলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছি। রাজনৈতিক জীবনের ধারাবাহিকতায় আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল ওয়ান ইলেভেনের দিনগুলো। সেই সময়ে নেত্রীর মুক্তি ও দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে রাজপথে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার আমার বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন বলে আমার বিশ্বাস।