স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম নগরীর ষ্টেশন রোডস্থ বসুধা রেলওয়ে সিটি সেন্টার দখলে রেখে শাহ আলম ও শাহনেওয়াজের রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টারের দোকান দখল ও সিড়িতে লোহার গেইট লাগিয়ে মার্কেটে উঠতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহ আলম ও শাহনেওয়াজ গং এর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করা হয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার। যার মামলা নং সি আর ৩৫৫/২০২৪। এসি শাহ আলম ও শাহনেওয়াজ গং চট্টগ্রামের ১৬ নং ষ্টেশন রোড চট্টগ্রামস্থ বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে ৩৭ হাজার বর্গফুটের গাড়ির পার্কিং এ ৮৪টি দোকান সহ সিডিএর নকশা বহির্ভূত বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকার রমরমা বানিজ্য করছে। মার্কেটের প্রায় ৪শত গ্রাহক শাহ আলমের সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে নিরুপায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সিএমএম আদালতে দায়েরকৃত মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, শাহ আলম ও শাহনেওয়াজের ভয়ে গ্রাহকেরা মার্কেটে যাওয়া আসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহ আলম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমি মার্কেটটির ডেভেলাপার হিসেবে কাজ করছি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে মেন্স স্টোরস এর প্রধান নির্বাহী সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাদের অন্যায় কাজে বাধা দিলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেন। বসুধা বিল্ডার্স এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার কর্মচারী প্রনয় বিশ্বাস ও রায়হানকে হাত করে আমার অফিস সহ অনেক স্পেস শাহ আলম গং দখল করে নেয়। বর্তমানে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে আমি নিজেও অসহায়। এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে বসুধা বিল্ডার্সের স্থাপনাকে ব্যবহার করে এসি শাহ আলমের অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়েছে চসিক। অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ কার্যক্রমে নীচ তলায় সিডিএ’র নকশা বহির্ভূত ভবনের পাশাপাশি পাকা-আধাপাকা বিভিন্ন ভবন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ অবৈধ স্থাপনাগুলো করেছিল এসি শাহ আলম। এ অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে সে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দোকানীরা মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা আন্দোলন করেছে বসুধা রেলওয়ে মেন্স সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি। তবে পুনরায় একই স্থানে আবার গড়ে তুলা হয় স্থাপনা। জানাগেছে, এসি শাহ আলমের দলিল ভুয়া প্রমাণ হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেন। ভুয়া দলিল করে অবৈধ নির্মাণ কাজ করেছিলেন এসি শাহ আলম। সূত্র জানায়, বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডে বিপরীতে বসুধার সামনে এসি শাহ আলম দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ স্থাপনা তুলে দোকান ঘর করে আসছিল। তার এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারনে নোটিশ প্রদান করার পরও সে অপসারন না করায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে চসিক। চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, অবৈধভাবে দোকানপাট, অননুমোদিত স্থাপনা গড়ে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।