আকাশ দেবনাথ: চট্টগ্রামে ভাষা শহীদদের স্মরণে নগরের নিউমার্কেটের মিউনিসিপ্যাল স্কুল ও কলেজের শহীদ মিনারে শহীদ মিনারে ভাষাপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে। সকল বয়সের মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ সকলেই ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ভাষা-প্রেমিক মানুষ ফুল, প্লেকার্ড, এবং ব্যানার নিয়ে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান। ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার শহীদ মিনার এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রথম প্রহরের পর সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। একে একে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন। এ সময় একুশের আলোয় আলোকিত হয় পুরো এলাকা। জুবিলি রোডে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সৃজামীসহ বেশ কিছু সংগঠন গণসংগীত, ভাষার গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। মনের মাধুরী দিয়ে হাতে আঁকা ব্যানার ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড, মুদ্রিত ব্যানার। এর মধ্যে সদরঘাটের সানরাইজ প্রি ক্যাডেট স্কুলের ব্যানারে শ্রদ্ধাঞ্জলি বানান ভুল ছিল। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হারুণ বাংলানিউজকে বলেন, পরশু দিনও নবনির্মিত শহীদ মিনারের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। এবার সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি। এ দেশের প্রগতিশীল নাগরিক হিসেবে দাবি জানাই, যাতে শহীদ মিনারটি জনবান্ধব করা হয়। নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু জানান, নতুন শহীদ মিনারটি দৃশ্যমান হয়নি। এটির সিঁড়িগুলো অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এটি সংস্কার বা পুনর্র্নিমাণের দাবি জানাই। একই সঙ্গে এটি নির্মাণে যারা জড়িত তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানাই। রাত ১২টা ১ মিনিটে মিউনিসিপ্যাল স্কুল ও কলেজ মাঠের অস্থায়ী শহীদ মিনারের সামনে সশস্ত্র অভিবাদন জানায় সিএমপির একটি চৌকস দল। প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর ও জেলা কমান্ড নেতারা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।