চট্টলবীর প্রতিবেদক : সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম সভায় সভাপতি হিসেবে যোগ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান বলেন, পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা থাকাটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব অবৈধ স্থাপনা তালিকা করে উচ্ছেদ করতে হবে। যাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে আনা যায় কিনা আমরা দেখছি। আর যাদের কোনো বৈধতাই নেই তারা কীভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ পায় সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। ড. আমিনুর রহমান আরও বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। ২০০৭ সালে ছাব্বিশটি কারণ খুঁজে বের করা হয়েছিল। ঠিক কি কি কারণে পাহাড় ধস হয়; পাহাড় ধস রোধে ৩৫টি সুপারিশ ছিল। সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করবো। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, গত তিনমাসে আমরা অনেকগুলো অভিযান পরিচালনা করেছি। অনেক সময় দেখা গেছে, রাতের বেলা পাহাড় কাটা হয়। আমাদের ভূমি কর্মকর্তারা রাতে ও সকালে অভিযান পরিচালনা করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন রাস্তা করছে। রাস্তা করবে ভালো কথা, কিন্তু পাহাড় কাটার পারমিশন তো তারা নিতে পারে না। কাউন্সিলররা সিটি করপোরেশন থেকে একটি কাগজ নিয়ে ইচ্ছেমতো পাহাড় কাটছে। অনেকগুলো পাহাড় তারা নষ্ট করেছেন।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (সিডিএ) বিভিন্ন জায়গায় অনুমোদন দেয়। নিজেরাও পাহাড় কাটে। কিছুদিন আগে এশিয়ান ফর ইউনিভার্সিটিতে ড্রেসিং করার নাম করে পাহাড় কেটেছে। আমরা গিয়ে সেটা বন্ধ করেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষে এ কাজ এককভাবে করা সম্ভব নয়। সব সরকারি দফতরকে পাহাড় কাটা বিষয়টিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) নিষ্কৃতি চাকমা, র্যাব-৭’র সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মেট্রো) হিল্লোল বিশ্বাস, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহরিয়ার নেওয়াজ ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।