মোহাম্মদ আবুল হাসেম : বঙ্গবাজারের আগুনের ভয়াবহতা আমার হৃদয়কে দগ্ধ করেছে। ব্যতিত আমি শংকিত আমি মানুষের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব যারা তাদের ভবিষৎ নিয়ে। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৩, সকাল ৬ টা ১০ মিনিট সাহরি শেষে ঢাকাবাসী তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এই সময়েই আগুন লাগে দেশের নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের ঢাকার ফুলবাড়িয়া এলাকার বঙ্গবাজার মার্কেটটিতে। যাদের সামর্থ্য নেই, তারা বছর জুড়ে ভিড় করেন বঙ্গবাজারে। সস্তায় ভালো মানের পোশাক সামগ্রী পাওয়া যায় এখানে। এখনো ঠিক জানি না, বঙ্গবাজারে কীভাবে আগুন লেগেছে। ৪ এপ্রিল ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। আগুনে বঙ্গবাজারসহ আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। বঙ্গবাজার মার্কেটের দোকানগুলো টিন ও কাঠ দিয়ে তৈরি ফলে আগুন দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে পুরো মার্কেটটিতে।। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস কাজে নেমে পড়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। যোগ দেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ। বঙ্গবাজারে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল পুলিশ সদর দপ্তরের ব্যারাকে। এরই জেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। বঙ্গবাজারে আগুন এবারই প্রথম নয়। ১৯৯৫ সালে ও ২০১৮ সালেও ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বঙ্গবাজার। তার মানে বারবার আগুনেও বঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা সতর্ক হননি। আগুন প্রতিদিন লাগবে না। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে প্রতিদিন। এখন সামনে দেশের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। তাই এখন বঙ্গবাজারের সব দোকান, গোডাউনে উপচেপড়া পণ্য। মুহূর্তেই সব ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আগে এই মার্কেট আবার চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর খুললেও নতুন করে আবার পণ্য তোলার সামর্থ্য থাকবে না বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর। আসুন বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া দোকানদারদের পাশে দাড়াই আমরা সবাই। আর আগুনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড জানান দেয়, এই অঞ্চলে প্রচুর পানি থাকা জরুরি। উন্মুক্ত লেক ও পুকুরে সারাবছর পানি মজুত রাখা যেতে পারে। অগ্নিনির্বাপনে এই পানি কাজে লাগবে। — মোহাম্মদ আবুল হাসেম, প্রধান সম্পাদক, দৈনিক চট্টলবীর