ষ্টাফ রিপোর্টার : ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী (২২) নোয়াখালী জেলার হাতিয়া এলাকায় তার মায়ের সাথে বসবাস করত। গত ৩ মার্চ দুপুরে প্রতিবন্ধীর মা প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে একা রেখে পানি আনতে বাইরে যান। এ সুযোগে আসামী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫) ভিকটিমকে ঘরে একা পেয়ে দরজা বন্ধ করে ভিকটিমকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের মা বাড়ি এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ধাক্কা দিলে আসামী নয়ন দরজা খুলে পালিয়ে যায়। ভিকটিমের মা ঘরে গিয়ে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় কান্নাকাটি করতে দেখে ইশারা ইঙ্গিতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিম জানায় আসামী তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ৩, তারিখ ০৫ মার্চ ২০২৩, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং /২০০৩)এর ৯(১)। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী নয়ন চন্দ্র দাস আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন রেল স্টেশন এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে আসামী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), পিতা-নকুল চন্দ্র দাস, গ্রাম- দক্ষিণ গামছাখালী, থানা- হাতিয়া, জেলা -নোয়াখালীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী